কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে স্তব্ধ হয়ে গেল হাসি, থমকে গেল সুর, নিভে গেল পর্দার আলো। যে কণ্ঠস্বর একসময় কোটি মানুষের হৃদয়ে দোলা দিত, তা আজ চিরতরে নীরব। যাঁর অভিনয় পর্দা থেকে চোখ সরাতে দিত না, সে আজ শান্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সৃষ্ট ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে বেশকিছু জনপ্রিয় তারকাকে। আজকের প্রতিবেদনে জানাব তাঁদের সম্পর্কে।
তুরস্ক
২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্প অনেক প্রাণ কেড়ে নেয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যান জনপ্রিয় তুর্কি ড্রামা সিরিজ ‘কুরুলুস উসমান’-এর অভিনেতা জাগদুশ জানকায়া এবং তাঁর স্ত্রী সুপরিচিত সংগীতশিল্পী জিলান টাইগ্রিস। একই ঘটনায় জীবন হারান তুর্কি অভিনেত্রী এমেল আতিচি এবং তাঁর ছোট মেয়ে।
চীন
তুর্কি নাগরিক ইদ্রিস তালহা কার্তাভ চীনে পরিচিত ছিলেন ‘তাং শিয়াওকিয়াং’ নামে। তিনি নিয়মিত ছিলেন জনপ্রিয় টিভি শো ‘ইনফরমাল টকস’-এ। তুরস্কের সংস্কৃতি, ইতিহাস আর তাঁর রসিক উপস্থাপনায় মুগ্ধ হতো দর্শক। ২০২৩ সালের এক ভূমিকম্পে সেই প্রিয় মুখকেও হারাতে হয়।
মেক্সিকো
১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মেক্সিকো সিটিতে আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে প্রাণ হারান কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রড্রিগো গঞ্জালেজ। ফোক-রক ঘরানায় জনপ্রিয় এই শিল্পী তাঁর গানে তুলে ধরতেন সমাজ, রাজনীতি, দুর্নীতি এবং নিম্নবিত্ত মানুষের সংগ্রামের বাস্তব চিত্র। ভূমিকম্পের সময় তিনি অবস্থান করছিলেন জুয়ারেজ কলোনির একটি অ্যাপার্টমেন্টে। সেখানেই চিরবিদায় নেন এই কিংবদন্তি।
ইরান
২০০৩ সালের বাম ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ইরানের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ইরাজ বাস্তামি। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে থেমে যায় তাঁর জীবনের সুর। বিখ্যাত সংগীত পরিবারে জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর কণ্ঠ ছিল ফার্সি সংগীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল সম্পদ।
শেখ ফরিদ।
